ট্যুরিজম বোর্ডের সেমিনার অনুষ্ঠিত
টাঙ্গুয়ার হাওরে ইকোট্যুরিজম বিকাশের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের আহ্বান
- আপলোড সময় : ১৯-১০-২০২৫ ০৮:৫৩:২১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-১০-২০২৫ ০৮:৫৩:২১ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে ‘দায়িত্বশীল হাওর পর্যটন : সমস্যা, সম্ভাবনা ও প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, সহযোগিতা করে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্যুরিজম বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. মাহজারুল ইসলাম ও মো. বোরহান উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা, সাধারণ সম্পাদক পীযুষ পুরকায়স্থ টিটু, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর সম্পাদক পঙ্কজ কান্তি দে, হাওরপাড়ের বাসিন্দা অখিল তালুকদার, পরিবেশ কর্মী সালেহিন চৌধুরী শুভ, সাংবাদিক মাসুম হেলাল, দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, জাকির হোসেন প্রমুখ।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাপস শীল, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান হৃদয়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ভাটি অঞ্চলের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দর্শনীয় স্থানসমূহ। ফলে পর্যটকদের আগমন ক্রমেই বাড়ছে। তবে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন এবং নিয়মবিধি না মানার কারণে টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। তারা বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘রামসার সাইট’ হিসেবে বিশ্ব জলাভূমির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানে দায়িত্বশীল ইকোট্যুরিজম বিকাশের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ ও স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।
বক্তারা আরও বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পাখিদের আবাসস্থল রক্ষা, অবৈধ স্থাপনা ও বালু উত্তোলন বন্ধ, হাওরের নৌযানে উচ্চ শব্দে গান বাজানো নিয়ন্ত্রণসহ টেকসই পর্যটন উন্নয়নের জন্য যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে পর্যটন খাতকে আয় ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনায় রূপান্তর করা যেতে পারে।
তারা বলেন, হাওরের গান, নৌকা বাইচ, লোকসংগীত ও হাওর উৎসবের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে পারলে স্থানীয় সংস্কৃতিও সমৃদ্ধ হবে। দায়িত্বশীল পর্যটনের মাধ্যমে হাওরাঞ্চলের অর্থনীতি যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি প্রকৃতির ভারসাম্যও বজায় থাকবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ